হে সুহাসিনী অপেক্ষারতা
আজি এ বসন্তে তোমার কথা
ভেবে ভেবে
কাটিতেছে
প্রতিটি ক্ষণ।
যদিও ক্ষণিকের দেখা
হাসিরেখা
ছিল না মুখচ্ছবিতে,
তবু
আবার দেখা
যদি হয়ে যায় কভু
আমিও অপেক্ষায়
আছি
সুহাসিনী তোমায়
নতুন করে
দেখবো বলে,
কিংবা
না দেখার ভান করে
আমিও রবো অপেক্ষায়
তারপর যাবো চলে।
তারপর আবার
আমি ফিরিয়া আসিব কিনা
আমি তো তার সবটুকু
নিজেও জানি না
তবু যদি আসি
হয়ে বানভাসি
জলের মতো
তুমিও কি রবে অপেক্ষারত?
যেমন ছিলে
বসে একা
আমি কি জিজ্ঞাসিব
তোমারে
তোমার হাসিমুখে
কেন বিষাদের রেখা?
তুমি কি অভিমানে
ফিরায়ে নিবে মুখ?
ভাঙিয়া যাবে বুক
সুহাসিনী
আমার সকল সুখ
উবে যাবে অন্ধকারে
তারাদের মতো
খসে যাবে
কিংবা
আমার সকল দুখ
বিরহী বাঁশির মতো
সকরুণ সুরে
বাজিয়া ওঠার পরে
তখনো কি রবে তুমি দূরে?
তোমার হাসিমুখ
মলিন কেন, সুহাসিনী?
হে অপেক্ষারতা
তোমার কথা
আমি এত ভাবিতেছি
কেন?
তোমার চোখে
একি দেখিলাম
আমার মরণ
যেন…
আমি আর আমাতেই নাই
বারে বারে নিজেরে হারাই।
নাকি অন্যকিছু?
দেখেছি তোমার চোখে
কিছুটা প্রেম কিংবা অপ্রেম
ঝরো হাওয়ার মতো
একেকটা বিকেল, সন্ধ্যা
ধাওয়া করিতেছে পিছু।
আজ সন্ধ্যা নামার আগে
আজ বৃষ্টি এলো তাই
আজ কবিতা লেখার দিন
তবু আমি কবিতা লিখি নাই।
[না প্রেমিক না কবি]
নুরুজ্জামান লাবু
আদাবর, ঢাকা
পয়লা এপ্রিল, 2019