এই যে ছবিতে কান্না ও প্রার্থনারত দেখে যারা হাজার হাজার মানুষের দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার বৈধতা দিচ্ছেন, তাদের বলি শোক ও প্রার্থনা তো ঘরে বসেই করা যায়, নাকি? রাস্তা বন্ধ করে এই প্রার্থনা আমি সমর্থন করি না।
আপনারাই তো- “যার মৃত্যু যেভাবে লেখা আছে সেভাবেই হবে” বলে ফতোয়া দিতেন, তাহলে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রার্থনার দরকার কি?
ভলান্টারি সার্ভিস যারা দিছেন, ওকে। বাট আগুনে নিজের চোখে পুইড়া মরতে দেখা এবং তা ভিডিও, ফেসবুকে আপলোড এবং টিভি ক্যামেরার পেছনে দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যাই তো বেশি।
মানুষের জটলা হইছে বলেই তো ভলান্টারি ভাইদের লাগছে, সরাইতে বা রাস্তা ক্লিয়ার করতে। মানুষ না থাকলে তো সেই কাজ তাদের করতে হতো না। তারপর আবার প্রশিক্ষণও নাই। ভলান্টারি কাজ করতে হলে তো সেফটি এন্ড সিকিউরিটির প্রশিক্ষণ থাকতে হয়। বরং ওইটা যাদের আছে কেবল তাদের ঘটনাস্থলে যাইতে দেন।
কয়েকজন ভলান্টিয়ারকে তো নিজের চোখে দেখলাম খালি টিভি ক্যামেরার সামনে গিয়ে নিজেদের আত্মপ্রচারের চেষ্টা করতেছিলেন।
না, দুর্ঘটনাস্থলে আপনার যাবার প্রয়োজন নেই। একেবারেই নিজের কাজ না থাকলে নির্দিষ্ট দুরুত্বে থাকেন, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কইরেন না। আর ভলান্টারি সার্ভিস যদি করতেই চান নিজ নিজ এলাকার দুর্ঘটনায় পতিত হইতে পারে, সেইসব উৎসসমূহ চিহ্নিত করেন, নিজের বাড়ি বা অফিসে দুর্ঘটনা ঘটলে করনীয় এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহে রাখেন, সম্মিলিত ভাবে ভবন মালিক বা প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করেন, নিজে সতর্ক থাকেন, অন্যকেও সতর্ক করেন।
প্রডাক্টিভ কাজের মধ্যে থাকেন, বেহুদা সময় নষ্ট কইরেন না। আপনার-আমার প্রডাক্টিভ কাজই কেবল এই শহরকে সুন্দর ও নিরাপদ হিসাবে গড়ে তুলতে পারে।
আর হ্যাঁ, ক্রাউড কন্ট্রোলে আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা ও সমন্বয়হীনতা আছে।
ছবিটা কালের কন্ঠের, ফেসবুক থেকে নেয়া।